কেন শীতলা অষ্টমীর দিন মা শীতলাকে বাসি খাবারের ভোগ দেওয়া হয়, জেনে নিন

ODD বাংলা ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে সব উৎসবের আলাদা মাহাত্ম্য থাকে। চৈত্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে শীতলা অষ্টমী রূপে উদযাপন করা হয়। এটি বাসোদা অষ্টমী নামেও পরিচিত। হোলির অষ্টম দিনে শীতলা অষ্টমী পালিত হয়। এদিন শীতলা মাতাকে মিষ্টি চাল নিবেদন করা হয়। এই চাল গুড় বা আখের রস দিয়ে তৈরি করা হয়। এই দিনে শীতলা মাতাকে নিয়ম করে পুজো করা হয়। এইদিন পুজো ও ব্রত করলে ঘরে সুখ শান্তি বজায় থাকে এবং রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

শীতলা অষ্টমীর দিন শীতলা মাকে বাসি খাবার নিবেদন করা হয়। এজন্যই এই পুজো বাসোদা নামে পরিচিত। যেখানে হোলির পুজা হয়, সেখানে বাসোদা পুজো হয়। অষ্টমীর পুজোর জন্য সপ্তমীর রাতে খাবার তৈরি করে রাখা হয়। আর অষ্টমী তিথিতে শীতলা মাতাকে প্রসাদ হিসেবে নিবেদন করা হয়।

শীতলা মায়ের নামের মধ্যেই বোঝা যায় এই দেবী ঠান্ডা জিনিস পছন্দ করেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই দিনে উপবাস ও উপাসনা করলে মানুষ গুটি বসন্ত, হামের মতো রোগে আক্রান্ত হয় না। শীতলা দেবী ঠান্ডা জিনিস পছন্দ করে বলেই তো শীতলা পুজোর দুদিন অর্থাৎ সপ্তমী ও অষ্টমীতে ঠাকুরের কাছে ঠান্ডা খাবার নিবেদন করা হয়ে থাকে।

এক নজরে দেখে নিন শীতলা দেবীর পুজোর ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম পালন করা উচিত 
১. শীতলা মায়র পুজোর দিন আগুণ জ্বালাতে নেই। আগের দিন খাবার তৈরি করে রেখে পরের দিন সেই খাবার দিয়েই দেবীর আরাধনা করা হয়। 
২. দেবীকে বাসি খাবার পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সকলকেও সেই বাসি খাবারই খেতে হয়। 
৩. মা শীতলা যেহেতু ঠান্ডা খাবার পছন্দ করেন সেই জন্য পুজোর দিন ঠাকুরের কাছে ডাব, দইয়ের মত ঠান্ডা খাবার নিবেদন করা হয়। 
৪. মনে করা হয়, যদি কোনও ব্যক্তি সম্পূর্ণ নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে শীতলা মায়ের পুজো করেন তাহলে তিনি সকল প্রকার সমস্যা ও ব্যাধি থেকে মুক্তি পবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.