অম্বুবাচীতে কেন প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করা হয় লাল কাপড়

ODD বাংলা ডেস্ক: ৫১ শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম হল কামাখ্যা মন্দির। অসমের গুয়াহাটিতে অবস্থিত এই মন্দিরে দেবী সতীর যোনি পড়ে ছিল। কামাখ্যা মন্দিরে প্রতি বছর বার্ষিক অম্বুবাচী মেলা আয়োজিত হয়। দেবী রজঃস্বলা হওয়ায় তিন দিন মন্দিরের কপাট বন্ধ থাকে। 

প্রসঙ্গত, অম্বু অর্থাৎ জল ও বাচী অর্থাৎ উৎফুলন-- এই শব্দ দুটি মিলে অম্বুবাচী শব্দের উৎপত্তি। এই শব্দটি স্ত্রী শক্তি ও তাঁর জন্ম দেওয়ার ক্ষমতাকে প্রকট করে। তিন দিন ব্যাপী এই মেলার প্রথম দিনে ভক্তরা কামেশ্বরী দেবী ও কামেশ্বর শিবের দর্শন করেন। তার পর মহামুদ্রার দর্শন করেন। দেবীর যোনিমুদ্রা পীঠের দশ সিঁড়ি নীচে একটি গুহা আছে, সেখানে অখণ্ড প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত থাকে। অম্বুবাচা মেলা উপলক্ষে অসমের কামাখ্যা মন্দিরে লক্ষ লক্ষ ভক্তের আগমন হয়। অম্বুবাচী শুরুর আগে মন্দিরের গর্ভগৃহে সাদা রঙের কাপড় রেখে দেওয়া হয়। তিন দিন বাদ সেই কাপড় লাল হয়ে যায়। সেটিই ভক্তদের মধ্যএ প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়। এটিই অম্বুবাচী বস্ত্র নামে পরিচিত।

এ সময়ে তিন দিনের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের জল লাল হয়ে যায়। কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী ছাড়াও আরও দুটি উৎসব হয়। এটি দেবধ্বনি ও দেউধাবী নামে পরিচিত। এখানে বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে নৃত্য করা হয়। পৌষ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের পুষ্য নক্ষত্রে পুষ্যাভিষেক উৎসব আয়োজিত হয়। এ সময়ে কামেশ্বরের মূর্তিকে কামেশ্বর মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। দ্বিতীয় দিনে ভগবতীর পঞ্চরত্ন মন্দিরে দুই মূর্তির হর-গৌরী বিবাহ মহোৎসব আয়োজিত হয়। মহাকুম্ভ নামে পরিচিত এই মেলার সময় তন্ত্র শক্তিকে অধিক মাহাত্ম্য প্রদান করা হয়। এ সময়ে শয়ে শয়ে তান্ত্রিক একান্তবাস থেকে বেরিয়ে এসে নিজের শক্তি প্রদর্শন করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.