নায়ক না হলে আজ এইভাবে বিখ্যাত হতেন মহানায়ক উত্তম কুমার!

ODD বাংলা ডেস্ক: ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তি পায় তাঁর পরিচালিত ছবি 'শুধু একটি বছর'। এই বছরে মুক্তি প্রাপ্ত 'কাল তুমি আলেয়া' ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেন উত্তমকুমার। যার সঙ্গীত সে বছরে মুক্তি প্রাপ্ত সঙ্গীতগুলির মধ্যে বিশেষ খ্যাতি লাভ করে। উত্তমকুমার বাঙালির মনের মতো একজন অভিনেতা হয়ে ওঠেন তাঁর বহুমুখী প্রতিভার মাধ্যমে। কলকাতার সাউথ সাবার্বান স্কুলের ছাত্র ছিলেন উত্তম। স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। পাড়ার থিয়েটারেও অভিনয় করতেন। গোয়েংকা কলেজে লেখাপড়া করেন। তবে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি। তার আগেই চাকরি নেন কলকাতার পোর্টে। এদিকে প্রেম করে বিয়ে করেন গৌরী দেবীকে। একদিকে চাকরি আর সংসার অন্যদিকে অভিনয়ের আগ্রহ। মধ্যবিত্ত ঘরের এই তরুণের পক্ষে বেশ কঠিন হয়েছিল সিনেমায় সুযোগ পাওয়া। অনেক পরিচালকের নির্মম বিদ্রুপেরও শিকার হতে হয়েছে। সেসব দিনের কথা উত্তম বলেছেন তার আত্মজীবনী ‘আমার আমি’তে।


উত্তম কুমার ছিলেন বাঙালির প্রাণের নায়ক। স্বাভাবিক অভিনয় এবং নায়কোচিত গ্ল্যামার তার মধ্যে মিশেছিল সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছিল তার দৈহিক সৌষ্ঠব, সুন্দর চেহারা এবং অনাবিল হাসি। আর তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল তাঁর কন্ঠস্বর। 

বসুশ্রী সিনেমাহলে প্রতি বছর তাঁর গান গাওয়ার কথা আমরা জানি। ১লা বৈশাখের সেই অনুষ্ঠানে সবাই হতবাক হয়ে শুনতেন মহানায়কের গান। যা অবাক করে দিত অনেক ব্যাক্তিকেই। শুধু তাই নয় বিভিন্ন পার্টিতে গিয়ে নিজের কন্ঠে গান শোনাতেন তিনি। অনেক নায়িকা যা শুনে রীতিমতো প্রেমে পড়ে যেতেন তাঁর।

 

উত্তমকুমার নিজ কন্ঠে গাইছেন "এই যে হেথায় কুঞ্জ ছায়াই"

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.