ইনিই XXX ছবির সবচেয়ে বয়স্ক অভিনেতা

পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ পর্নস্টার হিসেবে পরিচিত শিগেও টোকুদা একজন জাপানি নাগরিক, যিনি বয়স্ক পর্নোগ্রাফির ক্ষেত্রে এক বিশেষ স্থান অধিকার করেছেন। তার জীবন এবং ক্যারিয়ার অনন্য এবং বিস্ময়কর, যা তাকে একটি আন্তর্জাতিক আইকন এবং বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

শিগেও টোকুদার জন্ম এবং শুরুর জীবন:

শিগেও টোকুদা ১৯৩৪ সালে জাপানে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব ও প্রথম জীবনের সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। টোকুদা একটি সাধারণ জীবন যাপন করতেন এবং প্রায় ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি পর্ন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখেননি। তিনি দীর্ঘদিন একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন এবং তার কর্মজীবন ছিল একদমই স্বাভাবিক।

পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ:

টোকুদার পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করার ঘটনা অনন্য এবং অবিশ্বাস্য। যখন তিনি প্রায় ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন, তখন জীবনের একঘেয়েমি দূর করার জন্য তিনি কিছু ভিন্ন করতে চাইলেন। সেই সময়ে, জাপানের পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে বয়স্ক অভিনেতাদের চাহিদা বাড়ছিল, এবং টোকুদা সেই চাহিদা পূরণের জন্য এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৯০-এর দশকে তিনি প্রথমবারের মতো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান এবং তৎকালীন জাপানি প্রোডাকশন হাউস "রেমন ফিল্ম" এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তার অভিনীত পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্রগুলো "ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য লেডিস" ধরনের গল্প নিয়ে তৈরি করা হতো, যেখানে তিনি প্রায়ই তরুণী মহিলাদের সাথে অভিনয় করতেন। এই ধরনের চলচ্চিত্র জাপানের "বয়স্ক পর্ন" (Elderly Porn) জেনার-এর অধীনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

জনপ্রিয়তা এবং ক্যারিয়ার:

শিগেও টোকুদা তার অভিনয়ের জন্য দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তার পর্ন ফিল্মের বৈশিষ্ট্য ছিল বয়স্ক পুরুষ এবং তরুণী নারীদের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে, যা সাধারণত জাপানি সমাজে বিরল এবং বিতর্কিত বলে বিবেচিত হয়। টোকুদা এই বিতর্কের মধ্যেই নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং জাপানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতেও খ্যাতি অর্জন করেন।


টোকুদার কাজ শুধু জাপানেই সীমাবদ্ধ ছিল না; তিনি আন্তর্জাতিক স্তরেও পরিচিত হয়ে ওঠেন। তাকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি শুরু হয় এবং তার জীবনী নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। তার অভিনয় জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, তিনি ৮০ বছরের বেশি বয়সেও পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে সক্রিয় ছিলেন, যা তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক পর্নস্টার হিসেবে খ্যাতি দেয়।


ব্যক্তিগত জীবন এবং উত্তরাধিকার:

টোকুদা তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব বেশি কিছু প্রকাশ করেননি। তিনি সবসময় নিজের জীবন এবং কাজের মধ্যে একটি পরিষ্কার পার্থক্য বজায় রেখেছেন। তিনি পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের সিদ্ধান্তকে কখনও লজ্জা হিসেবে দেখেননি; বরং তিনি এটি তার জীবনের একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করেছেন।


শিগেও টোকুদার জীবন এবং ক্যারিয়ার আজও একটি আলোচনার বিষয়। তিনি পর্ন ইন্ডাস্ট্রির একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন, যেখানে বয়স কোনও বাধা নয়। তার কাজ এবং জীবন অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচিত হয়, বিশেষত যারা জীবনের কোনও পর্যায়েই নতুন কিছু শুরু করতে চান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.