RG করের মাঝে কেউ কথা বলছে না মালদার ভূতনি নিয়ে, লাখ লাখ মানুষ বন্যায় ঘর ছাড়া

মালদা (Malda) জেলার ভূতনি (Bhutni) অঞ্চলে প্রায় প্রতি বছরই বন্যার মুখোমুখি হতে হয়, এবং এটি স্থানীয়দের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূতনি মূলত মালদার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম্য অঞ্চল, যেখানে মহানন্দা এবং গঙ্গা নদীর জলস্ফীতি প্রায়শই বন্যার কারণ হয়। বন্যার ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়।


বন্যার কারণ:

ভূতনি এলাকায় বন্যার (Flood) মূল কারণ হলো গঙ্গা এবং মহানন্দা নদীর জলস্ফীতি। বর্ষাকালে অতিবৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা জলের চাপ বৃদ্ধির কারণে নদীগুলির জলস্তর বেড়ে যায়। এছাড়াও, নদীর পাড়ের ভাঙনও বন্যার একটি বড় কারণ হিসেবে কাজ করে। নদীর পাড় ভেঙে যাওয়ার ফলে জল গ্রামে ঢুকে পড়ে এবং ফসল, বাড়িঘর, এবং রাস্তা সবই জলের নিচে তলিয়ে যায়।


২০২৪ সালে মালদার ভূতনি অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বর্ষাকালে অতিবৃষ্টির ফলে গঙ্গা এবং মহানন্দা নদীর জলস্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যায়, যার ফলে এই অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আগের বছরগুলোর মতো এবারও বন্যা ভূতনির বাসিন্দাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।




বন্যার প্রভাব:

২০২৪ সালের বন্যায় ভূতনি এলাকার অনেক গ্রাম সম্পূর্ণরূপে জলের নিচে তলিয়ে গেছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং বহু মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় স্থানীয় মানুষজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। পানীয় জলের সংকট এবং খাদ্যের অভাবের কারণে সাধারণ মানুষ মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়া, জলাবদ্ধতা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে বিভিন্ন ধরনের জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।


প্রশাসনের পদক্ষেপ:

প্রশাসন থেকে বন্যাত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি মিলে দুর্গত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে। তবে, ত্রাণের পরিমাণ এবং মান নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে অনেকের মধ্যে। অনেক মানুষই অভিযোগ করছেন যে, তারা পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন না এবং সরকারের তরফ থেকে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা পূরণ হয়নি। বিশেষ করে, বন্যা প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা গ্রহণের অভাব নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

#breaking #maldaflood #floodnews #climate #westbengalflood #statenews

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.