আজও কিনে পাওয়া যায় বউ, পৃথিবীর এই অঞ্চলগুলিতে

বিশ্বের কিছু অঞ্চলে এখনও এমন কিছু প্রথা এবং প্রথাগত বাজার রয়েছে যেখানে নারীদের, বিশেষ করে বউ বা স্ত্রীর, কেনাবেচা করা হয়। যদিও এই ধরনের কার্যকলাপ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আইনি ও নৈতিকভাবে অনৈতিক, তবুও এই ঘটনাগুলো কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে এখনো বিদ্যমান। নিচে এমন কিছু প্রথা এবং বাজারের উল্লেখ করা হলো যেখানে বউ বা নারীদের কেনাবেচার ঘটনা ঘটে:

১. বুলগেরিয়ার স্টারা জাগোরা "ব্রাইড মার্কেট":

বুলগেরিয়ার স্টারা জাগোরায় প্রতি বছর একটি "ব্রাইড মার্কেট" অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রোমা (জিপসি) সম্প্রদায়ের পুরুষরা নারীদের সাথে বিয়ের জন্য মিলিত হন। এই বাজারটি মূলত একটি প্রথাগত মিলনস্থল যেখানে যুবতী মেয়েরা তাদের ভবিষ্যৎ স্বামীর জন্য সাজ-গোজ করেন। যদিও এটি সরাসরি নারীদের কেনাবেচার বাজার নয়, তবে প্রথাগতভাবে এটি এমন এক স্থান যেখানে আর্থিক লেনদেন এবং বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা হয়।

২. চীন এবং ভারতের কিছু অঞ্চলে পণ প্রথা:

চীন ও ভারতের কিছু অঞ্চলে এখনও পণ প্রথা বিদ্যমান, যেখানে কনে বা বউয়ের জন্য টাকা বা সম্পত্তির বিনিময়ে বিয়ে হয়। কখনও কখনও এই প্রথা নারীদের ব্যবসায় পরিণত করে, যেখানে পরিবারগুলি মেয়েদের জন্য অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে। যদিও এটি সরাসরি বাজারে নারীদের কেনাবেচার মতো নয়, তবুও এই প্রথা নারীদের প্রতি একটি পণ্যদৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।

৩. নাইজেরিয়ার "ব্রাইড প্রাইস" প্রথা:

নাইজেরিয়ার কিছু অঞ্চলে একটি প্রথা রয়েছে যেখানে বউ বা কনের পরিবারকে বিয়ের আগে একটি নির্দিষ্ট অর্থ দিতে হয়, যা "ব্রাইড প্রাইস" নামে পরিচিত। এটি প্রথাগতভাবে সম্মানের অংশ হিসাবে দেখা হলেও, কিছু ক্ষেত্রে এটি নারীদের প্রতি ব্যবসায়িক মনোভাব তৈরি করে, যেখানে মেয়েদের বউ হিসেবে কেনা-বেচার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

৪. মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অঞ্চলে যৌনদাসী প্রথা:

মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অঞ্চলে, বিশেষ করে যেখানে যুদ্ধ ও সংকট চলছে, সেখানে নারী এবং বাচ্চাদের দাসত্বে পরিণত করা হয়। এই নারীদের কখনও কখনও যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করা হয়, যা একটি ভয়ানক মানবাধিকার লঙ্ঘন। যদিও এটি প্রথাগত বউ কেনাবেচার বাজার নয়, তবে যুদ্ধের ফলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যেখানে নারীদের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

উপসংহার:

বউ বা নারীদের কেনাবেচার ঘটনা এখনও বিশ্বের কিছু অঞ্চলে বিদ্যমান, যা মানবাধিকার, মর্যাদা, এবং সমতার পরিপন্থী। এসব প্রথা এবং কার্যকলাপ আইনত এবং নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং এগুলির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা চলছে। নারী অধিকারের জন্য কাজ করা সংস্থাগুলি এবং সরকারগুলি এই ধরনের প্রথাগুলি বন্ধ করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে এ বিষয়ে জনসচেতনতা এবং শিক্ষার অভাব এখনও একটি বড় বাধা।


#dhadichapracticeinmadhyapradesh #womenarelikecommodities #agreementdraftedforanywoman#rentawife



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.