আর কি কোনও দিন তিব্বতে ফেরা হবে না দলাই লামার?
তিব্বতের ধর্মগুরু দালাই লামা ১৯৫৯ সালে চীনা দমননীতি থেকে বাঁচতে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ৬৬ বছর পার হলেও, আজও তিনি স্বদেশে ফিরতে পারেননি। একসময় মনে করা হয়েছিল যে, তিব্বতের জন্য রাজনৈতিক সমাধান আসতে পারে, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সেই আশাকে ধীরে ধীরে ম্লান করে দিচ্ছে।
তিব্বত থেকে নির্বাসন: এক করুণ অধ্যায়
১৯৫০ সালে চীনা বাহিনী তিব্বত দখল করলে, দালাই লামার নেতৃত্বে তিব্বতীয় জনগণের স্বাধীনতার লড়াই শুরু হয়। ১৯৫৯ সালের মার্চ মাসে লাসায় সংঘর্ষ চরমে ওঠে এবং পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দালাই লামা ভারত সরকারের সহায়তায় ভারতে পালিয়ে আসেন।
ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর, তিনি ধর্মশালায় তিব্বত সরকার-প্রবাস প্রতিষ্ঠা করেন এবং আন্তর্জাতিকভাবে তিব্বতের স্বাধীনতার দাবি তোলেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, বিশ্ব রাজনীতির বাস্তবতা বদলে গেছে।
তিব্বতের ভবিষ্যৎ: আশার আলো নাকি অন্ধকার?
একসময় মনে করা হয়েছিল যে, চীনের সাথে আলোচনার মাধ্যমে দালাই লামা তিব্বতে ফিরে যেতে পারবেন। ১৯৮০ ও ২০০০-এর দশকে চীনের সঙ্গে আলোচনার প্রচেষ্টা চালানো হলেও, বেইজিং তিব্বতের স্বাধীনতা বা স্বায়ত্তশাসন নিয়ে কোনো আপস করতে রাজি হয়নি।
বর্তমানে চীনের শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণের ফলে দালাই লামার স্বদেশে ফেরার স্বপ্ন ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে। বেইজিংয়ের কড়া অবস্থানের কারণে তিব্বতের সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়টি এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে।
তরুণ প্রজন্মের ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
তিব্বতের তরুণ প্রজন্ম, যারা ভারতে বা অন্যান্য দেশে বড় হয়েছে, তাদের অনেকেই তিব্বতের ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে। তারা কেউ কেউ স্বাধীনতার লড়াই চালিয়ে যেতে চায়, আবার কেউ চায় বাস্তবতা মেনে নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে।
Post a Comment