২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে ফের মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কীভাবে সেই সময়ের পরিস্থিতি রাজ্যে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল। গোধরা কাণ্ডের পর কীভাবে রাজ্যে হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে, সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর কথায়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "গোধরা ট্রেনে ৫৯ জন কারসেবককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। সেই ঘটনার পরেই রাজ্যজুড়ে অশান্তি শুরু হয়। প্রশাসন তখন সমস্ত শক্তি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল।"
মোদীর দাবি, "আমরা তখন দ্রুততার সঙ্গে সেনা নামিয়েছিলাম। দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার থেকে সহায়তা চেয়েছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে এক মুহূর্তে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছিল।"
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "যারা আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চেয়েছিল, তারাই এই ঘটনাগুলোকে সামনে এনে বারবার রাজনীতি করেছে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য ছিল রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনা।"
মোদীর এই বক্তব্য সামনে আসতেই ফের একবার গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীরা এই মন্তব্যকে ঘিরে সরব হয়েছে। অনেকেই বলছেন, ২০০২ সালের সেই দুঃসহ অধ্যায় নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মানুষ উত্তর খুঁজছে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরার কাছেই সাবরমতি এক্সপ্রেসে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। তারপর রাজ্যজুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসায় বহু মানুষ নিহত হন।
Post a Comment