Kolkata Snowfall: আর খুব বেশি দেরি নয়, কলকাতায় পড়বে বরফ

 

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন আজ সমগ্র বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ। আর তারই আশ্চর্য এক পূর্বাভাস উঠে এসেছে সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের গবেষণায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগামী ১০০ বছরের মধ্যে যদি পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার এভাবেই চলতে থাকে, তবে এক সময় কলকাতায়ও নাকি বরফ পড়তে পারে!

আমরা সাধারণত ভাবতেই পারি না যে, গ্রীষ্মপ্রধান এই শহরে বরফ পড়বে! কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং শুধু পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ায় না, বরং জলবায়ুর চরিত্রও আমূল বদলে দেয়। তার প্রভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে চরম আবহাওয়া (Extreme Weather) দেখা দেয়। যেমন, মরুভূমিতে প্রবল বৃষ্টিপাত, আবার গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে তীব্র শীত।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে যে হারে বরফ গলছে, তাতে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা যেমন বাড়বে, তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ুও মারাত্মকভাবে বদলে যাবে। গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলিতেও এক সময় এমন ঠান্ডা পড়তে পারে, যা আজকের দিনে ভাবাই যায় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কলকাতার মতো সমুদ্রের কাছাকাছি অবস্থিত শহরগুলিতে তাপমাত্রার তারতম্য আরও দ্রুত ঘটবে। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা পৌঁছাবে ৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি, আবার শীতকালে নামতে পারে ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর সেই পরিস্থিতিতে ‘স্নোফল’ বা তুষারপাতের মতো ঘটনা যে অসম্ভব নয়, তা-ও বলছেন গবেষকরা।

এই আশঙ্কা যদি সত্যি হয়, তবে তা নিঃসন্দেহে আনন্দের নয়। কারণ, এর মানে হবে প্রকৃতির স্বাভাবিক ভারসাম্য সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়া। বরফ পড়া মানে কলকাতার সাধারণ জীবনযাত্রায় বড়সড় বিপর্যয়। জলপথ, স্থলপথ, বিদ্যুৎ, বাসস্থান, খাদ্য, সব ক্ষেত্রেই দেখা দেবে বড় সংকট।

তাই এখনই সময়, বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার। বৃক্ষরোপণ, কার্বন নিঃসরণ কমানো, প্লাস্টিক দূষণ রোধ করা—এসবই হতে পারে গ্লোবাল ওয়ার্মিং রুখতে অস্ত্র। নইলে, আগামী দিনে কলকাতার আকাশ থেকে সত্যিই বরফ পড়ার দৃশ্য আমাদের দেখতে হতে পারে, তবে তা আনন্দের নয়, বরং এক ভয়ংকর বাস্তবতা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.